শ্রী হনুমান চালিশা || Shree Hanuman Chalisa Bengali PDF

শ্রী হনুমান চালিশা (Shree Hanuman Chalisa Bengali PDF) ডাউনলোড করুন এবং আপনার দৈনিক প্রার্থনা ও আধ্যাত্মিক উন্নতির জন্য এটি ব্যবহার করুন। ভগবান হনুমানকে উত্সর্গীকৃত এই শক্তিশালী স্তোত্রের গুরুত্ব, উপকারিতা এবং সঠিক পাঠ পদ্ধতি জানুন। অভ্যন্তরীণ শক্তি, শান্তি এবং দিব্য আশীর্বাদ পাওয়ার জন্য এটি একটি নিখুঁত গাইড।

হনুমান চালিসা: শক্তি এবং ভক্তির আধ্যাত্মিক পথ

হনুমান চালিসা একটি পবিত্র হিন্দু স্তোত্র, যা সারা বিশ্বের লক্ষ লক্ষ মানুষের জন্য সান্ত্বনা, শক্তি এবং অটল বিশ্বাসের উৎস হিসেবে বিবেচিত। এর রচনা করেছিলেন ১৬শ শতকের বিখ্যাত কবি-সন্ত গোস্বামী তুলসীদাস। এই স্তোত্র ভগবান হনুমানের প্রতি নিবেদিত, যিনি ভগবান রামের পরম ভক্ত এবং সাহস, ভক্তি ও নিঃস্বার্থ সেবার প্রতীক।

“চালিসা” শব্দের অর্থ চল্লিশ শ্লোক, এবং এই শ্লোকগুলো তুলসীদাসজির ভগবান হনুমানের প্রতি গভীর ভক্তি এবং তাঁর গুণাবলী, শক্তি ও ধর্মের প্রতি অটুট বিশ্বাসকে প্রকাশ করে।

অবধি ভাষায় রচিত এই স্তোত্র কেবল কবিতামূলক নয়, এতে গভীর দার্শনিক এবং আধ্যাত্মিক বার্তাও রয়েছে, যা মানসিক এবং আধ্যাত্মিক শক্তি প্রদান করতে পারে।

দোহা

শ্রী গুরু চরণ সরোজ রজ নিজমন মুকুর সুধারি ।
বরণৌ রঘুবর বিমলযশ জো দায়ক ফলচারি ॥

বুদ্ধিহীন তনুজানিকৈ সুমিরৌ পবন কুমার ।
বল বুদ্ধি বিদ্যা দেহু মোহি হরহু কলেশ বিকার ॥

চৌপাঈ

জয় হনুমান জ্ঞান গুন সাগর।
জয় কপিস তিহু লোক উজাগর ॥ ১ ॥

রাম দূত অতুলিত বল ধামা।
অঞ্জনী-পুত্র পবন সুত নামা ॥ ২ ॥

মহাবীর বিক্রম বজরঙ্গী।
কুমতি নিবার সুমতি কে সঙ্গি ॥ ৩ ॥

কাঞ্চন বরন বিরাজ সুবেষা।
কানন কুণ্ডল কুঞ্চিত কেশা ॥ ৪ ॥

হাথবজ্র ঔ ধ্বজা বিরাজৈ।
কান্ধে মুঞ্জ জানিউ সাজে ॥ ৫ ॥

শঙ্কর সুবন কেশরী নন্দন।
তেজ প্রতাপ মহা জগ বন্দন ॥ ৬ ॥

বিদ্যাবান গুণী অতি চাতুর ।
রাম কাজ করিবে কো আতুর ॥ ৭ ॥

প্রভু চরিত্র সুনিবে কো রসিয়া ।
রামলখন সীতা মন বসিয়া ॥ ৮॥

সূক্ষ্ম রূপধরি সিয়াহি দিখাবা ।
বিকট রূপধরি লংক জরাবা ॥ ৯ ॥

ভীম রূপধরি অসুর সংহারে ।
রামচন্দ্র কে কাজ সংবারে ॥ ১০ ॥

লায়ে সঞ্জীবন লখন জিয়ায়ে ।
শ্রী রঘুবীর হরষি উর লায়ে ॥ ১১ ॥

রঘুপতি কীন্হী বহুত বদায়ী ।
তুম মম প্রিয ভরত সম ভায়ি ॥ ১২ ॥

সহস্র বদন তুম্হরো য়শগাবৈ ।
অস কহি শ্রীপতি কণ্ঠ লগাবৈ ॥ ১৩ ॥

সনকাদিক ব্রহ্মাদি মুনীশা ।
নারদ শারদ সহিত অহীশা ॥ ১৪ ॥

য়ম কুবের দিগপাল জহাং তে ।
কবি কোবিদ কহি সকে কহাং তে ॥ ১৫ ॥

তুম উপকার সুগ্রীবহি কীন্হা ।
রাম মিলায় রাজপদ দীন্হা ॥ ১৬ ॥

তুম্হরো মন্ত্র বিভীষণ মানা ।
লংকেশ্বর ভয়ে সব জগ জানা ॥ ১৭ ॥

য়ুগ সহস্র য়োজন পর ভানূ ।
লীল্যো তাহি মধুর ফল জানূ ॥ ১৮ ॥

প্রভু মুদ্রিকা মেলি মুখ মাহী ।
জলধি লংঘি গয়ে আচার্য নাহী ॥ ১৯ ॥

দুর্গম কাজ জগত কে জেতে ।
সুগম অনুগ্রহ তুমহ্রে তেতে ॥ ২০ ॥

রাম দুয়ারে তুম রখবারে ।
হোত ন আজ্ঞা বিনু পৈসারে ॥ ২১ ॥

সব সুখ লহৈ তুম্হারী শরণা ।
তুম রক্ষক কাহূ কো ডরনা ॥ ২২ ॥

আপন তেজ সম্হারো আপৈ ।
তীনোং লোক হাংক তে কাংপৈ ॥ ২৩ ॥

ভূত পিশাচ নিকট নহি আবৈ ।
মহাবীর জব নাম সুনাবৈ ॥ ২৪ ॥

নাসৈ রোগ হরৈ সব পীরা ।
জপত নিরন্তর হনুমত বীরা ॥ ২৫ ॥

সংকট সে হনুমান ছুড়াবৈ ।
মন ক্রম বচন ধ্যান জো লাবৈ ॥ ২৬ ॥

সব পর রাম তপস্বী রাজা ।
তিনকে কাজ সকল তুম সাজা ॥ ২৭ ॥

ঔর মনোরধ জো কোয়ি লাবৈ ।
সহি অমিত জীবন ফল পাবৈ ॥ ২৮ ॥

চারো যুগ প্রতাপ তুম্হারা ।
হৈ প্রসিদ্ধ জগত উজিয়ারা ॥ ২৯ ॥

সাধু সন্ত কে তুম রখবারে ।
অসুর নিকংদন রাম দুলারে ॥ ৩০ ॥

অষ্ঠসিদ্ধি নব নিধি কে দাতা ।
অস বর দীন্ জানকী মাতা ॥ ৩১ ॥

রাম রসায়ন তুম্হারে পাসা ।
সদা রহো রঘুপতি কে দাসা ॥ ৩২ ॥

তুম্হরে ভজন রামকো পাবৈ ।
জনম জনম কে দুখ বিসরাবৈ ॥ ৩৩ ॥

অন্ত কাল রঘুপতি পুরযায়ী ।
জহান জনম হরিভক্ত কহায়ী ॥ ৩৪ ॥

ঔর দেবতা চিত্ত ন ধরায়ে ।
হনুমত সেযি সর্ব সুখ করায়ে ॥ ৩৫ ॥

সংকট কটৈ মিটৈ সব পীরা ।
জো সুমিরৈ হনুমত বল বীরা ॥ ৩৬ ॥

জয় জয় জয় হনুমান গোসায়ী ।
কৃপা করহু গুরুদেব কী নায়ী ॥ ৩৭ ॥

যো শত বার পাঠ কর কোয়ী ।
ছূটহি বন্দি মহা সুখ হোয়ী ॥ ৩৮ ॥

জো য়াহ পড়ে হনুমান চালীসা ।
হোয়ে সিদ্ধি সাখী গৌরীশা ॥ ৩৯ ॥

তুলসীদাস সদা হরি চেরা ।
কীজৈ নাথ হৃদয় মহ ডেরা ॥ 40 ॥

দোহা

পবন তনয সংকট হরণ – মংগল মূরতি রূপ ।
রাম লখন সীতা সহিত – হৃদয় বসহু সুরভূপ্ ॥

নীচে ক্লিক করুন হানুমান চালিষা বাংলায় পিডিএফ (Hanuman Chalisa Lyrics in Bengali) বিনামূল্যে ডাউনলোড বা প্রিন্ট করুন

হনুমান চালিশার উপকারিতা

হনুমান চালিশাকে আধ্যাত্মিক এবং মানসিকভাবে অত্যন্ত উপকারী বলে মনে করা হয়। ভক্তরা এটি পাঠ করেন भगवान হনুমানের আশীর্বাদ পাওয়ার জন্য, সমস্যার উপর জয়লাভ করার জন্য এবং অন্তর্নিহিত আত্মবিশ্বাস বিকাশের জন্য। এটি ভয়, নেতিবাচকতা এবং বাধাগুলি দূর করে এবং মনের শান্তি ও আত্মশক্তিকে মজবুত করে।

এটাও বিশ্বাস করা হয় যে এর পাঠ সুরক্ষা দেয়, সুস্বাস্থ্যের আশীর্বাদ আনে এবং আধ্যাত্মিক সচেতনতা বাড়ায়। এটি প্রায়শই কঠিন সময়ে বা গুরুত্বপূর্ণ কাজ শুরু করার আগে পাঠ করা হয়।

হনুমান চালিশার সঠিক পাঠ কীভাবে করবেন

হনুমান চালিশার পুরো উপকার পেতে, এটি ভক্তি ও শ্রদ্ধার সঙ্গে পাঠ করা উচিত। এটি পড়ার জন্য আদর্শ সময় সকালে বা সন্ধ্যায়, স্নান করার পরে এবং একটি শান্ত ও পরিষ্কার জায়গায়। প��র্বদিকে মুখ করে বসুন, একটি প্রদীপ জ্বালান এবং আপনার মনোযোগ ভগবান হনুমানের প্রতি নিবদ্ধ করুন। শান্ত মনে ও মনোসংযোগ করে এটি উচ্চারণ করুন। এর নিয়মিত পাঠ এবং এর অর্থ বোঝা এর দেবীয় প্রভাবকে আরও গভীর করে তোলে।

Translate in other language:

হনুমান চালিশা শুধুমাত্র একটি স্তোত্র নয়, এটি সাহস, বিশ্বাস এবং ভক্তির সঙ্গে জীবনের চ্যালেঞ্জগুলোর মোকাবিলা করার একটি চিরকালীন নির্দেশিকা।

জয় শ্রী রাম

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top